‘সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার এই আমাদের অঙ্গীকার‘ এবারের গ্রন্থাগার দিবসে এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের মুক্তাহার গ্রামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’-এ র্যালী, বই পাঠ, আলোচনা সভা ও সেরা পাঠক সম্মাননার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেইন রোড থেকে গ্রন্থাগার পর্যন্ত এক বর্ণঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালী শেষে পাঠাগার মিলনায়তনে বিভিন্ন লেখকের লেখা গ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়, এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
গ্রন্থাগার পাঠক ফোরামের সভাপতি দেবাশীষ দাশ রতনের সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি বিপ্লব দাশের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদ ও মুক্তাহার গ্রামের দুই ভাষা সৈনিক বাণীকান্ত দাশ ও প্রিয়তোষ দাশ এর স্মরণে ১ মিনিট দাড়িয়ে নীরবতা পালন করা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিনয় দাশ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- গ্রন্থাগারের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ প্লাবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রতীক দাশ, গ্রন্থাগার কর্মী প্রান্ত দাশ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন- “পাঠক ও বইয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে গ্রন্থাগারের অবদান অনস্বীকার্য। তাই গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। দিবসটি অন্যান্য জাতীয় দিবসের মতোই গুরুত্ব বহন করে। তাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা উচিত। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র চন্দ্র দাস গ্রন্থাগার’ আমাদের জাতীয় এই কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাদের এখানে বসে বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যা উপজেলার অন্য কোন গ্রামে নেই। তাই আমাদের সবার উচিত গ্রন্থাগারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সকল কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে বই পড়া ও পাঠাগার আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রী সহ সর্বস্থরের মানুষকে বই পড়তে উৎসাহী করা।” উল্লেখ্য যে আলোচনা সভা শেষে সারা বছর পাঠকদের বই পড়ার উপর ভিত্তি করে সেরা পাঠক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবছরের সেরা পাঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন- উর্মি দাশ ও সৃষ্টি রাণী দাশ। তাঁদের হাতে অতিথিরা সেরা পাঠক সম্মাননা তুলে দেন।