বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একাধিকবার সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কাছে বাংলাদেশীদের অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুইস রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে শনিবার এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই।তবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএফআইইউ একাধিকবার বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চেয়েছে।’
দেশ থেকে অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ সুইস ব্যাংকগুলোতে বেশ কিছু চিঠি পাঠিয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যখনই আমাদের তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন হয়,বিএফআইইউ সব জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন,বাংলাদেশ সুইস ব্যাংকে জমা রাখা বাংলাদেশী টাকার বিষয়ে তথ্য চাইলেও সুইস পক্ষ এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সাথে এই বিষয়ে আলাপের পর এ কথা বলেন মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি শুয়ার্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়ায় তিনি গভর্নর ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে বিবৃতি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
মোমেন বলেন,বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের কাছে তথ্য চায়নি- এটা ঠিক নয়।
বুধবার ‘ডিক্যাব টক’ এ বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন,সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের জমা করা অর্থের পরিমাণ ‘সম্পূর্ণরূপে অনুমাননির্ভর’ এবং গণমাধ্যম ও অন্যান্য প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কোনো উপসংহারে আসা যাবে না।