পশ্চিমা আর্থিক সহায়তার ধীরগতির কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৈন্যদের বেতন দিতে ইউক্রেন হিমশিম খাচ্ছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন,বাজেটের প্রায় ৬০ শতাংশই যুদ্ধে খরচ হওয়ায় তাকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাটছাঁট করতে হয়েছে।কিন্তু এটা এখনও যথেষ্ট নয়,কারণ কর রাজস্বের মাত্র ৪০ শতাংশ সরকারি ব্যয় মেটায়।
এর আগে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল দেশ চালানোর জন্য তাদের প্রতিমাসে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।তাই পশ্চিমা সাহায্য ছাড়া তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে না।তবে এসব সহায়তা প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে আসছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মার্চেনকোর মতে,পশ্চিমা সরকারগুলোতে দ্রুত এ ব্যাপারে রাজি করাতে তার অনেক সময় দিতে হবে।পশ্চিমা অর্থ ছাড়া যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে,যা অর্থনীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রোস্তিসলাভ শুরমা আরও কঠিন বলে অভিহিত করেছেন।তার মতে,পশ্চিমারা যদি ধীরগতি সহায়তা দেয়,তাহলে রাশিয়ানরা পোল্যান্ডের সীমান্তে পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন,তারা (পশ্চিমারা) যুদ্ধটা বুঝতে পারছে না,এটাই সমস্যা।তারা যেটা বুঝতে পারছে তা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চমূল্য।
তহবিলের অভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারকে সৈন্যদের বেতন দেওয়ার এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্য নতুন করে অর্থ ছাপানো ছাড়া আর বিকল্প খোলা নেই বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।