চীনের সেই জাহাজটি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে শ্রীলংকা। বেইজিংয়ের গবেষণা জাহাজটি নিয়ে প্রতিবেশী দিল্লি আপত্তি তোলার পর কলম্বো জাহাজটির আগমন পিছিয়ে দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল শিপিং এবং বিশ্লেষণ সাইটগুলো চীনের ইউয়ান ওয়াং-৫ নামে জাহাজটিকে গবেষণা এবং জরিপ জাহাজ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে ভারতের গণমাধ্যম বলছে, এটা চীনের দ্বৈত ব্যবহারের গোয়েন্দা জাহাজ।
সম্প্রতি ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলংকা। এই সুযোগে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। তবে চীনের থেকে ভারত শ্রীলংকাকে বেশি সহায়তা দিয়েছে।
এশিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার প্রধান জাহাজ চলাচলের রুট শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দরকে বৃহৎ এবং অধিক শক্তিশালী চীন সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা।
চীনের ইউয়ান ওয়াং -৫ নামের জাহাজটি গত ১১ আগস্ট হাম্বানটোটা বন্দরে পৌছানোর কথা ছিল। তবে শ্রীলংকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, জাহাজটি আগামী মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছাবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ এবং সিঙ্গাপুর পলায়নের আগে গত ১২ জুলাই চীনের জাহাজটি প্রবেশের অনুমোদন দেয় শ্রীলংকা।
রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে ২০০৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন চীন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋন নেন। হাম্বানটোটা গভীর বন্দরটি শ্রীলংকা চীনের কাছে ১.১২ বিলিয়ন ডলারে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। কলম্বো বন্দরটি তৈরি করতে বেইজিংকে ১.৪ বিলিয়ন মূল্য পরিশোধ করেছে।
ভারতের গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ইউয়ান ওয়াং-৫ জাহাজটি মহাকাশ এবং স্যাটেলাইট শনাক্তের কাজে ব্যবহার করতে পারে চীন। এছাড়া আন্তোঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্যও চীন জাহাজটি ব্যবহার করতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজটি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। চীনের জাহাজ হাম্বানটোটায় প্রবেশে চাপ সৃষ্টি করার তথ্যও অস্বীকার করেছে ভারত।