ময়মনসিংহের নান্দাইল সদর থেকে দেওয়ানগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজের প্রায় অর্ধেক অংশে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইটের খোয়া হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। রোলার চাপায় এসব খোয়া গুঁড়া হয়ে হলদেটে ধুলায় পরিণত হচ্ছে। এতে সড়কের নির্মাণ কাজ মানসম্মত হচ্ছে না এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) নান্দাইল ডায়াবেটিক হাসপাতালের সামনে থেকে চানপুর পর্যন্ত গিয়ে এই পরিস্থিতি দেখা যায়। স্থানীয় রমজান আলী শুক্রবার সকালে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সড়কে যা দিতাছে মনে অয় এইডা ইডের সুরহি (ইটের খোয়া) না, মনে অয় চুলার ভিতরের পুড়া মাডি’।
নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, পিকেট (শক্ত ইট) ভেঙে তৈরি করা খোয়া রাস্তায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু নান্দাইল- দেওয়ানগঞ্জ রাস্তায় বেশীভাগ অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন নিম্মমানের কাজ হচ্ছে এই মর্মে অভিযোগ করায় কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। আবার পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তা সমান করার জন্য মাত্র একবার রোলিং করার পরই খোয়া গুঁড়া হয়ে যাচ্ছে। তাই কৌশল খাটিয়ে কম রোলিং করা হচ্ছে। এ ধরনের খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারের কাউকে সড়কে পাওয়া যায়নি।
নিম্নমানের কাজ হচ্ছে খবর পেয়ে গত শুক্রবার ওই সড়কটিতে কাজ দেখতে যান নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. শাহাবো রহমান। তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাইড থেকে ওই নিম্নমানের খোয়া সরানোর জন্য। ভালো মানের খোয়া এনে কাজ করতে। এ ছাড়া বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে’। নান্দাইল-দেওয়ানগঞ্জ রাস্তার ১৭ কিলোমিটার উন্নয়নকাজ সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।