স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পাবে না। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখনই পণ্য বহুমুখীকরণ ও গুণগত মান বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন এক গোলটেবিল আলোচনার বক্তারা।
শনিবার দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ‘ডব্লিউটিও ১২তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ফলাফল’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইসিএবি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএবি সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন।
শরিফা খান বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে না। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে কেবল ভর্তুকির দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজস্ব পণ্য উৎপাদন, পণ্য বহুমুখীকরণ ও পণ্য মানের উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হতে হবে। যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের টেকসই অবস্থান তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আগামীতে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ভর্তুকি বা সহজ প্রবেশাধিকার খুব বেশি কাজে আসবে না। মেধাস্বত্ব অধিকার দ্বারা এখন বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প লাভবান হচ্ছে, স্বল্পমূল্যে সফটওয়্যার ও বই ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। এ সুবিধা কতদিন থাকবে তা বলা মুশকিল। দেশীয় ওষুধ শিল্পকে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা করে আগামীতে টিকে থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিতে সরকার সহজ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর বলেন, সর্বশেষ ডব্লিউটিও সম্মেলনে এলডিসি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।