ধনী হওয়া কি ললিত মোদীর অপরাধ? ধনী বলে কি তাঁর সুন্দরী বান্ধবী পাওয়া নিয়ে সমালোচনা হবে?— এমন বক্তব্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন নিজের নেটমাধ্যমে শেয়ার করে প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত লিখলেন, “বহুদিন পর একটি যথাথ ভাবে লেখা সংবাদ চোখে পড়ল।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে একটি পত্রিকায় প্রায় সাত পাতা জুড়ে। ললিত সেই প্রত্যেকটি পাতার ছবি শেয়ার করেছেন। ছবি দিয়েছেন পত্রিকার প্রচ্ছদের, যেখানে তারই ছবি। আর দিয়েছেন সম্পাদকীয়ের পাতাটি। সেখানেও তার এবং সুস্মিতার সম্পর্কের সমর্থনে একের পর এক যুক্তি সাজানো হয়েছে।
প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ললিতের নতুন সম্পর্কের ঘোষণা ইস্তক সংবাদ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা চলছে তাদের নিয়ে। সেই আলোচনায় যতটা অভিনন্দন বা খুশির বার্তা ছিল, তার থেকে অনেক বেশি ছিল কটাক্ষ, ব্যঙ্গোক্তি এবং সমালোচনা। কেউ ললিতের বয়স নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কেউ সুস্মিতাকে আক্রমণ করে বলেছেন, অর্থের জন্য তিনি ললিতকে বেছে নিয়েছেন। দু’জনের সম্পর্ক যে অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দেশের মানুষ।
ললিত সেই সব সমালোচনার সরাসরি জবাব না দিলেও সুস্মিতা দিয়েছিলেন। কার্টুন শেয়ার করে নিজের মনোভাবের কথা বুঝিয়েছিলেন ললিতও। তবে এই প্রথম কোনও প্রতিবেদনের বক্তব্যকে নিজের সমর্থিত বক্তব্য বলে তুলে ধরলেন ললিত।
প্রতিবেদনটিতে ললিত এবং সুস্মিতার পক্ষ নিয়ে লেখা হয়েছে, সুস্মিতা এবং ললিত দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে বাকিদের এত মাথাব্যাথা কেন? তবে কি ললিতও পরোক্ষভাবে সে কথাই বলতে চাইছেন?