ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তে উঠে এসেছে, লুই সাহা মাতুরি নামে এক বন্ধুর মাধ্যমে মহিলাদের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। নির্জন স্থানে মেন্ডির ‘দ্য স্পিনে’ বাড়ির ‘প্যানিক রুমে’ তালাবদ্ধ করে আটকে নারীদের ধর্ষণ করা হতো। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ঘটেছে এই ঘটনা। আর মাতুরিকে এ জন্য মোটা টাকাও দিয়েছেন মেন্ডি।
ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির দ্বিতীয় দিনে মেন্ডির বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন ১৩ জন নারী। এরমধ্যে ৭ জনই সরাসরি ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেননি ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
ইংল্যান্ডের চেস্টার ক্রাউন আদালতে এখন হাজিরা দিতে হচ্ছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের ফুটবলার বেঞ্জামিন মেন্ডিকে। যে হাতে ২০১৮ সালে মস্কোয় বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন, সেই হাতেই করেছেন নারী নিপীড়িন- এমন অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ৮টি ধর্ষণ, ১টি যৌন নির্যাতন ও ১টি ধর্ষণচেষ্টার। আর এই অভিযোগগুলোর প্রমাণ দিতে আদালতে উপস্থিত হন ১৩ জন নারী। সরকারি আইনজীবী টিমোথি ক্রে জানিয়েছেন, এই ১৩ নারীর সকলেই মেন্ডির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কয়েকজন আদালতে অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণও দাখিল করেছেন।
মামলার কৌঁসুলি টিমোথি ক্রে বলেন, মেন্ডি ফুটবল খেলেন। তার থেকেও বেশি মহিলাদের সঙ্গে অসভ্যতা করেন। উনি নিজেকে প্রচুর ক্ষমতাশালী মনে করেন। মহিলাদের ওপর বলপ্রয়োগ করেন। ধর্ষণ, যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। মনে করেন ক্ষমতা ব্যবহার করে শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন।
সাক্ষীদের মধ্যে ৭ জন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মেন্ডিকে। ৮ জন মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছেন মাতুরিকে। ২৮ বছর বয়সী ফরাসি ফুটবলার মেন্ডি অভিযোগ অস্বীকার করছেন বরাবরই। অপরাধ প্রমাণ হলে কড়া শাস্তি হতে পারে ম্যানচেস্টার সিটির এই ডিফেন্ডারের। সেই সাথে, শেষ হয়ে যেতে পারে ফুটবলজীবন।