সাভারের আশুলিয়ায় বাংলার বন্ধু উন্নয়ন সংস্থা খুলে কৌশলে বিনিয়োগ ও চাকরি দেওয়া কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরো বেশ কয়েকজন পলাতক রয়েছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে গ্রেপ্তার আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪ এর একটি দল। এর আগে সকালে আশুলিয়ার জিরাবোর বাগান বাড়ি এলাকার শহিদুল ইসলামের ভাড়া নেয়া বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার পাঁচপুর গ্রামের ছপ্পের আলীর ছেলে ও বাংলার বন্ধ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী রেখা মনি (২৮), জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার রামপুরা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ও সংস্থার সভাপতি শরিফ মিয়া (৩৫), আশুলিয়ার জিরাবোর বাগানবাড়ি এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে তুহিন আহমেদ (৩৫), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মহিমাগঞ্জ বাজারের আহাদুল ইসলামের ছেলে আহসান হাবিব (২২), একই এলাকার শহিদুল মোল্লার ছেলে হাসানুল (২৯), শ্রী ধলু চন্দ্রের ছেলে শ্রী অমৃত চন্দ্র (২১), ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহেল রানা (২৮), মোজাম্মেলের ছেলে ইমরান হোসেন (২৪) ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার বারোকোনা গ্রামের ইংরেজ আলীর ছেলে ইব্রাহিম (৫০)। এঘটনায় পলাতক রয়েছে আরও ১০/১২ জন। এই মামলায় শফিকুল ও শরিফ মিয়া গ্রেপ্তার হলেও বাকীরা পলাতক।
ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান হোসেন বলেন, শফিকুল ইসলাম ও শরিফ মিয়া পূর্ব পরিচিতির সূত্রে তাকে তাদের সমিতিতে বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। বিনিময়ে তাদের সমিতিতে চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের প্রলোভনে রাজি হয়ে তিনি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। বিনিয়োগ গত ২২ ফেব্রুয়ারি অ্যাডমিন অফিসার হিসাবে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। তবে সমিতিতে অ্যাডমিন অফিসার হিসাবে যোগদান করলে আজ পর্যন্ত কোনো বেতন পরিশোধ করে নাই। বেতন দেই দিচ্ছি করে তারা সময়ক্ষেপণ করছিল। পরে পুনরায় বেতন চাইলে তারা খুন জখমের হুমকি প্রদান করেন। তিনি অফিসে যাতায়াতের সুবাদে তার মতো আরো ভুক্তভোগীর সন্ধান পান। একইভাবে সাকিলের কাছ থেকে ৪৯ হাজার, মো. মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে নবীনগর র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর অধিনায়ক রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার সংস্থার সভাপতি শরিফ পঞ্চম শ্রেণি পাস ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল দাখিল পাস। কিন্তু তারা খুবই চালাক। কোট টাই পরে অফিসে নিয়মিত মিটিং করেন। এই চক্রটির বিরুদ্ধে গাইবান্ধায় প্রতারণা মামলা রয়েছে। সেখান থেকে আশুলিয়ায় এসে এক বছর দরে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। এখানে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।