পৃথিবী যত উষ্ণ হচ্ছে, নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে গ্রীষ্ম। গরমের ভয়াবহতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এদিকে দুই বছর পর আবারও শুরু হয়েছে শিশুদের স্কুল। এতদিন পর হঠাৎ করে স্কুলে যাতায়াত, তারপর টানা বসে ক্লাস করা— এতে অনেকেরই শরীর এবং মনের ওপর চাপ পড়ছে। গরমে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়ছে।
এ সময় শিশুরা স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পর কিছু জিনিস মাথায় রাখবেন। যেমন-
১. একদম গরম থেকে ঘরে এসেই এসি-তে ঢোকা কারওর জন্যই ঠিক নয়। তাই কয়েক মিনিট এমনি বসে থেকে এসি চালাতে পারলে ভাল হয়। তা না হলে ভালোভালো ঘাম মুছে ফ্যান ছেড়ে বসতে হবে।
২. পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে শিশুদের লবণ-চিনির পানি বা লেবুর শরবত অবশ্যই খাওয়ান। বাড়িতে শিশুদের হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরান। শিশুরা যেন ভালোভাবে গোসল করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩. এই সময় ক্লান্তি খুব বাড়ে। এ কারণে অবশ্যই শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। যদি মনে হয় বেশি শরীর খারাপ লাগছে শিশুর, দেরি না করে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।
৪. গরমে শিশুদের মনমেজাজও ভাল থাকতে না-ই পারে। এ কারণে অযথা বকাবকি বা খিটখিট করা এড়িয়ে চলুন। তাদের সঙ্গে গল্প করুন, একসঙ্গে সময় কাটান, সারাদিন কী হল শিশুদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। পাশাপাশি সারাদিন স্কুলে শিশুদের কেমন কাটলো সেটা জানতে চান।
৫. শিশুর খাবারের তালিকায় বিশেষভাবে নজর দিন। গরমের ফল এবং সবজি যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে সেসব খাওয়াতে হবে শিশুদের। এমনিতে শিশুরা সবজি খেতে চায় না। তাদের জন্য কম তেলমসলা দিয়ে মুখরোচক খাবার তৈরি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য সবজির পুর দিয়ে রোল, বড়া বানাতে পারেন।
৬. স্কুলে তো বটেই, বাইরে বের হলেও শিশুরা যেন সঙ্গে পানি রাখে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। শিশুরা বাইরের খাবার, শরবত, ঠান্ডা পানীয় একদম যেন না খায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। গরম থেকে এসেই খুব ঠান্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটাও বদলাতে হবে, তা না হলে ঠান্ডা-গরম লেগে শরীর খারাপ করবেই।
৭. শিশুর স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। দীর্ঘ দু’বছর পর স্কুলে যাচ্ছে তারা। নানা রকম অসুবিধা হতেই পারে তাদের মানিয়ে নিতে, বিশেষ করে যারা নতুন-নতুন স্কুলে যাচ্ছে তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। সব হয়তো বাড়িতে বলতেও পারবে না। এ কারণে তাদের ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন আসছে কি না, সে খোঁজ রাখাও জরুরি।