ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শক্তিশালি ঝড়ে ৩ শিশুসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ইতালি ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়াসহ দক্ষিণ ও মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবারের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাতাসে গাছের নিচে চাপা পড়ে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। বৈদ্যুতিকই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ ও মধ্য ইউরোপের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝডটি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। এই বিষয়ে আবহাওয়া অফিস থেকে কোনও আগাম সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি।
ফ্রান্সের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে ঝড়ের সময় কর্সিকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার গতিতে বয়ে গেছে দমকা হাওয়া। বিপুল শক্তিতে বাতাস বয়ে যাওয়ায় দ্বীপটির বহু জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে, বিপুলসংখ্যক ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলে গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলেছে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ। তারপরই এলো এই দুর্যোগ। প্রত্যক্ষদর্শীলা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের ঝড় ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত এবং আবহাওয়া দপ্তর থেকে কোনো প্রকার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।
কর্সিকা দ্বীপের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী কেড্রিক বলেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম সাধারণ মৌসুমি ঝড়। কিন্তু পরে বুঝলাম— এটা কোনো সাধারণ ঝড় নয়। এত ধ্বংসাত্মক ঝড় আমরা এর আগে দেখিনি।