মাদারীপুরের রাজৈরে বহুল আলোচিত শিক্ষার্থী শাহীন শেখ (২৪) কুপিয়ে হত্যা মামলায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের পরিবার। শুক্রবার সকালে নিহত শাহীনের গ্রামের বাড়ি রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা হত্যা মামলায় আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পরিবারের অভিযোগ, গত ৬ আগস্ট বাড়ির লোকজন অন্যত্র বেড়াতে যাওয়ায় রাতের খাবার খেয়ে ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়ে শাহীন শেখ। পরদিন ৭ আগস্ট রোববার সকালে রাজৈর উপজেলার চৌরাশি এলাকার একটি বাগান থেকে শাহীনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পূর্বশত্রুতার জেরে বেশ কিছুদিন ধরে শাহীনকে হত্যার ঘোষণা দিয়ে আসছিল প্রতিপক্ষের লোকজন। এরই জেরে বাড়ি থেকে শনিবার রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয় শাহীনকে। এই ঘটনায় ৮ আগস্ট নিহত শাহীনের মা হামিদা বেগম বাদী হয়ে রাজৈর থানায় ১৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ওইদিনই চৌরাশী এলাকার চেরাক আলী হাওলাদারের ছেলে মাইনউদ্দিন হাওলাদারকে (৪৫) আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে গ্রেফতার হয়নি আর কোন আসামী।
নিহত শাহীনের বড় বোন রেকসোনা ইয়াসমিন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের দুই সপ্তাহেও পুলিশ ঘটনার রহস্য বের করতে পারেনি। এমনকি ঘটনায় জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকায় রহস্যময়। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান পরিবারের সদস্যরা।
রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ঘোষ জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হবে।
প্রসঙ্গত, নিহত শাহীন রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মোস্তফা শেখের ছেলে ও মাদারীপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল। সে বাজিতপুর এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার আসামী ছিল।