যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনের (ডিএফসি) মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইকোনমিক গ্রোথ, এনার্জি অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট জোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজের কাছে এই অনুরোধ করেন।
ড. চৌধুরী ও আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জ্বালানি উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে স্বনির্ভর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত নীতির বিষয়ে আন্ডার সেক্রেটারিকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ সরকার কীভাবে গ্যাস, তেল ও কয়লা, পারমাণবিক ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনছে এই বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি ঘাটতি বাংলাদেশসহ অনেক দেশকে তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা পরিস্থিতির উন্নতিতে ভূমিকা রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ড. চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ডিএফসির অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো দেশে আরও বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করেন।
আন্ডার সেক্রেটারি বাংলাদেশের চমৎকার আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য নিরসনে অগ্রগতির প্রশংসা করেন। ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে তা স্বীকার করে ফার্নান্দেজ উপদেষ্টাকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য, জ্বালানি বা সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।
আন্ডার সেক্রেটারি ফার্নান্দেজ ২০২১ সালের নভেম্বরে কপ-২৬ এ চালু হওয়া ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজে’ যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি শিল্পের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।