১৮ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ভারতীয় ট্রলার সত্যনারায়ণ কে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রবল ঢেউয়ে ডুবে গেছে এম ভি শঙ্খধ্বনি নামের একটি ট্রলার। এতে নিখোঁজ হয়েছেন আরও ১৯ জন। এ নিয়ে নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭ জনে।
শঙ্খধ্বনি ট্রলারের মালিক রণজিৎ হালদার সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে অন্য যারা উদ্ধার অভিযানে গেছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে এখনো কাউকে উদ্ধার করা গেছে কিনা, তা জানা যায়নি।
গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) কাকদ্বীপ থেকে রওনা দেয় সত্যনারায়ণ। দুর্যোগের পূর্বাভাস পেয়ে ফেরার পথেই কেঁদো দ্বীপ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে উলটে যায় ট্রলারটি।
জেলেদের সংগঠনের সূত্র জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা কাকদ্বীপ থেকে প্রায় শতাধিক ট্রলার বঙ্গোপসাগরে যায়। কিন্তু সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় জেলেদের সমুদ্রযাত্রার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গভীর সমুদ্র থেকে দ্রুত ফিরে আসছিল ট্রলারগুলো। যারা ফিরতে পারছিল না তারা আশ্রয় নিচ্ছিল কেঁদো দ্বীপে।
জানা যায়, অন্য ট্রলারগুলো দ্রুত ফিরে এলেও বেশ খানিকটা দেরি করে এম ভি সত্যনারায়ণ। সমুদ্রের মধ্যে ট্রলারটি প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়ে। পরে দ্বীপের ১২ কিলোমিটার দূরে চরে ধাক্কা লেগে ফুটো হয়ে যায় ট্রলার। এরপর একপাশ কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে।
এদিকে ৩০ সেকেন্ডের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের সন্দেশখালি এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক কাঁচা বাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশাসনিক হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার দুপুরে শক্তিশালী অতি গভীর নিম্নচাপ সাগরদ্বীপ থেকে বালাসোরের মধ্যে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়। ওড়িশায় প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
সমুদ্রে উত্তাল ঝোড়ো হাওয়া থাকার কারণে আজ ও আগামীকাল মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।সমুদ্রের ধারে বিনোদনমূলক সব কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।