লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হলো স্টোকস-ম্যাককালামদের বাজবল ক্রিকেট। নরকিয়া-রাবাদাদের পেসের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ও ১২ রানে হেরেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তিন দিনের মধ্যেই ইংলিশদের দুইবার অলআউট করে কথার পর কাজেই বাজবল ক্রিকেটের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো ডিন এলগারের দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্ট অধিনায়কত্বের পূর্ণকালীন দায়িত্বে টানা ৪ ম্যাচে জয়ের পর প্রথমবারের মতো পরাজয়ের মুখ দেখলেন বেন স্টোকস। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে টানা জয় পাওয়া ইংল্যান্ডকে নিয়ে সিরিজের আগেই ডিন এলগার বলেছিলেন, স্টোক্সের দল কীভাবে খেলবে তা নিয়ে তিনি ভাবিত নন। এরপর দলের খেলোয়াড়রাই দারুণভাবে অধিনায়ককে সত্যি প্রমাণ করলেন। বিশেষভাবে বলতে হয় দুই প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার আইনরিখ নরকিয়া ও কাগিসো রাবাদার কথা। দুজন মিলে লর্ডস টেস্টে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো ইয়ানসেন ও কেশব মহারাজের কাছ থেকেও দারুণ সহযোগিতা পেয়েছেন রাবাদা ও নরকিয়া।
প্রথম ইনিংস শেষে ১৬১ রানের বড় লিড নেয়ার পর কেশব মহারাজের জোড়া আঘাতে লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চের আগেই চালকের আসনে চলে যায় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে, আইনরিখ নরকিয়া, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩২৬ রানে শেষ হয় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। ১৬১ রানে পিছিয়ে থেকে যেমন সূচনা দরকার ছিল বেন স্টোকসের দলের, তেমনটি হয়নি। ওপেনিং জুটি নিয়ে ইংলিশদের দুর্দশা হয়তো সহসাই কাটছে না। জোড়া আঘাতে জ্যাক ক্রলি ও ওলি পোপকে সাজঘরে পাঠিয়ে স্বাগতিকদের টপ অর্ডারকে আরও একবার ভঙ্গুর বানিয়ে দেন কিছুদিন আগেই বর্ষসেরা প্রোটিয়া ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা কেশব মহারাজ। এবার আর জো রুট, জনি বেয়ারস্টোরা পারেননি ইংল্যান্ডের ইনিংস মেরামত করতে। রাবাদা, নরকিয়া, ইয়ানসেন, মহারাজদের তোপে মাত্র ১৪৯ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাবে, ডিন এলগারের ৭৩ রান ও টেল এন্ডারদের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২৬ রানে। টেস্টে ৭৯ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।