মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান বাতিল সহ অর্পিত সম্পত্তি আইন নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কিছু মতামত ও নির্দেশনা বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ। ফলে, ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান বাতিল করায় সরকারের সাশ্রয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা। শনিবার (২০ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আপিলকারী সিনিয়র অ্যাভোকেট মনজিল মোরসেদ এ তথ্য জানায়।
সরকারের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল হাই অর্পিত সম্পত্তি আইন চালেঞ্জ করে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করেন।
ওই মতামত ও নির্দেশনার বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল দায়ের করে এবং শুনানি শেষে গত ২ জুন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে প্রণীত আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন, নির্দিষ্ট সময় মামলা নিস্পত্তি, তামাদি আইন প্রয়োগ, ডিক্রি বাস্তবায়ন, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, অর্পিত সম্পত্তি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধানগুলি আছে। রায়ে বলা হয় আদালত কোনও আইন করার বিষয় ম্যানডামাস ইস্যু করতে পারে না, সরকারের নিকট ন্যাস্ত সম্পত্তির বিষয় সরকারের উপর আইন করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
আদালত রায়ে আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনও সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত না করার বিষয় নির্দেশনা নিরর্থক। কারণ আপিল বিভাগ ইতিপূর্বে দেয়া রায়ে ১৯৭৪ সালের ২৩ মার্চের পরে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্তি বে-আইনি ঘোষণা করেছে।
আপিল বিভাগের রায় প্রসঙ্গে মনজিল মোরসেদ বলেন, যদি মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হতো তাহলে হাজার হাজার একর অর্পিত সম্পত্তি যা সরকারের দখলে আছে সেসব সম্পত্তির মূল্য বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।