আমার ছেলের বয়স ১৪ বছর। ইদানীং ওর প্রায়ই জ্বর আসে। প্রথমে ভেবেছিলাম, গরমের কারণে হয়তো ঘেমে ঠান্ডা লেগে এটা হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখছি প্রায় রোজই ভোরের দিকে জ্বর আসে এবং দিনে সেরে যায়। এ ছাড়া প্রচণ্ড মাথাব্যথা হচ্ছে ওর। গরম পানির ভাপ নিলে একটু ভালো লাগে। কিন্তু ব্যথা থাকেই। কোনো ওষুধ এখনো দিইনি। এটা কি কোনো সমস্যা? কোনো ডাক্তারি পরীক্ষা কি করাতে হবে?
প্রথমে জানতে হবে জ্বর মেপেছিলেন কি না। মেপে থাকলে কত এবং প্রতিদিন জ্বর আসে কি না। মোদ্দা কথা, এক সপ্তাহের জ্বরের তালিকা লাগবে। জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ আছে কি না, শিশুটি ছেলে না মেয়ে, কত দিন হলো প্রায়ই জ্বর আসে, জ্বরের কারণে শিশুর দৈনন্দিন কাজকর্ম, খেলাধুলায় কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, ওজন ও খাবারের রুচির নতুন কোনো তারতম্য হয়েছে কি না, পায়খানা কষা থাকে কি না, প্রস্রাবের কোনো সমস্যা আছে কি না—এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর প্রয়োজন। যদি দুই সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসক দেখিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
ডা. নূরজাহান বেগম, স্পেশালিস্ট, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা
আমার ইদানীং দুর্বল লাগে। মনে হচ্ছে পুষ্টিহীনতায় ভুগছি। কোনো মাল্টিভিটামিন খেতে পারি?
নীনা সুলতানা, নীলফামারী
বিভিন্ন খাবারের মধ্যে থাকা ভিটামিনগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আলাদা করে কোনো ভিটামিন সম্পূরক হিসেবে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তবে শরীরে যদি কোনো ভিটামিনের বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন সম্পূরকের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের পরামর্শমতো ভিটামিন সেবন করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনো ধরনের মাল্টিভিটামিন বা সম্পূরক সেবন করা যাবে না।
জাকিয়া নাজনীন
পুষ্টিবিদ ও হোলস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার, ঢাকা
কদিন আগে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে এক পায়ের গোড়ালিতে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেছি। হাঁটার সময় গোড়ালির জয়েন্টে ব্যথা লাগে। এক দিন পর এই ব্যথা হাঁটুতে উঠে যায়। এখন এই পায়ের হাঁটুতে ভর করে বসতেও পারছি না। গরম সেঁক দিয়েছি, কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রেখেও দেখেছি। এটা কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ব্যথাও তো পাইনি। কী করতে পারি?
রেবেকা রাজিয়া খান, নওগাঁ
পায়ের গোড়ালিতে ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে, হরমোনগত সমস্যা থাকলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কিংবা বিএমআই অনুযায়ী যদি ওজন অনেক বেশি হয়, তাহলেও এমন ব্যথা হতে পারে। তা ছাড়া হিলওয়ালা জুতা ব্যবহার করলে বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করলেও পায়ের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে। ফলে আগে ব্যথার কারণগুলো জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। তবে এ ধরনের সমস্যায় গরম সেঁক না দিয়ে ঠান্ডা সেঁক দিতে হবে। বোতলে পানি ভরে ডিপফ্রিজে রেখে সকালে ব্যথার অংশে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এভাবে ১৫ মিনিট করে দিনে দুবেলা করা যাবে। এ ছাড়া ওজন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং যে জুতা পরবেন, সেটা অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে।