ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়ে হাওয়া উড়ছিল জিম্বাবুয়ে। আর একই মাঠে পরের সিরিজেই দলটিকে মাটিতে নামিয়ে আনল ভারত। জিম্বাবুয়ের ‘দিবাস্বপ্ন’ ভেঙে দিল লোকেশ রাহুলের দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শনিবার বিপুলসংখ্যক দর্শককে হতাশায় ডুবিয়ে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারাল ভারত। এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০তে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিলেন রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত, এবার ৫ উইকেটে। অবশ্য ১৪৬ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সাঞ্জ স্যামসনরা।
এই জয়ের ফলে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড ভেঙে একদিনের ক্রিকেটে একটি মাঠে সব থেকে বেশি টানা ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল টিম ইন্ডিয়া।
একটি মাঠে পর পর সব থেকে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। শারজার মাঠে ১৯৯০ সালে টানা ১০ ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল তারা। আর ১৯৯২ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ব্রিসবেনে টানা ৯ ওয়ানডে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আর শনিবারের ম্যাচের পর জিম্বাবুয়ের হারারে স্টেডিয়ামে টানা ১১ ম্যাচ জিতল ভারত। ২০১৩ সাল থেকে ভারত হারারেতে টানা জিতে চলেছে।
হারারেতে টস জিতে প্রথমে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। ভারতীয় বোলারদের তোপে ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন শন উইলিয়ামস। রায়ান বার্ল অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সিরিজসেরা হওয়া সিকান্দার রাজা এবার টানা দুই ম্যাচেই ব্যর্থ। প্রথম ওয়ানডেতে ১২ রানের পর আজ আউট হয়েছেন ১৬ করে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শার্দুল ঠাকুর। ডানহাতি এ পেসার ৩৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জবাবে শুরুতেই মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এর পর শিখর ধাওয়ান ২১ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। খুব দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেন সফরকারীরা; ৯৭ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। শুভমান গিল ৩৩ আর দীপক হুদা আউট হন ২৫ করে।
তবে সঞ্জ স্যামসন ৩৯ বলে ৪৩ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। অক্ষর প্যাটেল অপরাজিত থাকেন ৬ রানে।