কখনো পরিচয় দেন তিনি র্যাব-১২ এর সিও। আবার কারো কাছে তিনি পুলিশের এএসপি। এসব পরিচয়ে চাকরি দেওয়া, নিলামে কম দামে গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলেন র্যাবের সিও এবং এএসপি পরিচয়ে। এ ছাড়াও তার পরিচয় ৩২তম বিসিএস ক্যাডার।এই পরিচয়ে তিনি আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়াসহ নানা প্রতারণার মাধ্যমে নেন টাকা।
এসব অভিযোগে টাঙ্গাইলে মোস্তাফিজুর রহমান রাতুল (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব-১২। টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১২’র সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান রবিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান রাতুল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার রান্দিয়া ধলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি সেট ও চার্জার, তিনটি মোবাইল, জনতা ব্যাংকের দুইটি চেক বই, দুজনের বায়োডাটা, তদন্ত অফিসার হিসেবে তিনটি মামলার এজাহারের ফটোকপি, কাস্টমস অফিসারের ছাড়পত্র লেখা সংযুক্ত দুইটি মোটরসাইকেলের নিলামের ভুয়া ফটোকপি ইত্যাদি প্রতারণার আলামত জব্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাতুল বিভিন্ন সময় নানা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। চাকরি দেওয়া, নিলামে কম দামে গাড়ি পাইয়ে দেওয়া, আশ্রায়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়া, খন্দকার রাতুল নামে আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ, উচ্চ পদস্থ অফিসার হিসেবে মামলার তদবির করা ইত্যাদি অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
কোম্পানী কমান্ডার জানান বিভিন্ন জেলার নানা জায়গায় অবস্থান করে তিনি প্রতারণা করছিলেন। ৬-৭ মাস আগে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে নানাস্থানের চায়ের দোকান ও অন্যান্য দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের টার্গেট করে তিনি প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। তার নামে ২০০৭ সালে ময়মনসিংহ সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।