পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির মিডিয়া নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানী ইসলামাবাদে দেওয়া এক বক্তব্যে ইমরান খান দেশের পুলিশ ও অন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমালোচনার পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
রোববার ( ২১ আগস্ট) পাকিস্তানের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটির (পিইএমআরএ) এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ইমরান খান ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের’ বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ তুলেছেন এবং ‘ঘৃণ্য বক্তব্য ছড়াচ্ছেন’।
ছয় পাতার ওই বিবৃতিতে পিইএমআরএ আরও বলেছে, ইমরান খানের রাখা ‘বক্তব্য সংবিধানের ১৯ ধারার লঙ্ঘন’। বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে কেবলমাত্র সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড করা বক্তব্য সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে সম্প্রচার করা যাবে।
শনিবার ২০ আগস্ট) রাতে ইসলামাবাদে এক সমাবেশে রাখা বক্তব্যে ইমরান খান তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিলকে গত ৯ আগস্ট গ্রেফতার করা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি দেন। ইমরান খান বলেন, ইসলামাবাদের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এবং শাহবাজ গিলকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা এক নারী বিচারকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা হবে। এদিকে, শাহবাজ গিলের বিরুদ্ধে দেশটির ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের উস্কানির অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানান ইমরান খান।
গিল শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখিয়ে অভিযোগ করেছেন, এবং হেফাজতের অধীনে পরিচালিত একটি মেডিকেল পরীক্ষা করে দেখায় যে তিনি হাঁপানিতে ভুগছেন। কিন্তু নির্যাতনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে ইসলামাবাদের পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের মেডিকেল রিপোর্টে জানানো হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় আদালত আরেকটি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।