মিয়ানমারের সাগাইংয়ে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে সরকারি বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে। সোমবার সাগাইং অঞ্চলের কাঠা শহরের উপকণ্ঠে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও কাচিন ইনডেপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সাথে এ সংঘর্ষ হয়।
কাঠা-পিডিএফের সূত্র অনুসারে, ইরাবতি নদীর পূর্ব তীরে বান্ট বিওয়ে গ্রামে নিয়োজিত থাকা ৫০ জন সরকারি সৈন্যের ওপর সোমবার ভোরে যৌথ আক্রমণ চালায় কেআইএ ও পিডিএফ।
এ সময় জান্তা সৈন্যরা ছয়টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদীর তীরঘেঁষে খাবার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মান্দালয় অঞ্চল থেকে উত্তর মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।
জান্তা বাহিনীর এই বহরটি গত সপ্তাহেও কাঠায় কেআইএ ও পিডিএফ দ্বারা দু’বার আক্রান্ত হয়েছিল। যুদ্ধবিমান ও পদাতিক বাহিনী তাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তারা এ আক্রমণের শিকার হয়। সোমবারের এ সংঘর্ষ স্থায়ী হয় প্রায় দুই ঘণ্টা।
কাঠা-পিডিএফের একজন কর্মকর্তা দ্য ইরাবতিকে মঙ্গলবার জানিয়েছেন, শাসকগোষ্ঠীর দুটি যুদ্ধবিমান দ্বারা পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছিল, এ সময় ৯টি বোমা ফেলা হয়েছিল।
তবে কেআইএ ও পিডিএফের যোদ্ধারা জান্তা বিমান হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে আগাম খবর পেয়ে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে কাঠা-পিডিএফ বলেছে, এ যুদ্ধে ৩০ জন জান্তা সৈন্য নিহত হয়েছে। একটি সামরিক রণতরী দিয়ে আহত ও নিহতদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী। এ সংঘর্ষে বিদ্রোহী চারজন যোদ্ধা সামান্য আহত হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সাগাইংয়ে আরেক সংঘর্ষে ছয়জন জান্তা সৈন্য ও চারজন বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছিল।বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই জান্তা বাহিনী দেশজুড়ে পিডিএফ ও অন্যান্য সশস্ত্র নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হচ্ছে।