নারায়ণগঞ্জে শিল্প কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। ফলে থমকে আছে টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন টেক্সটাইল মিল মালিকরা। হারাতে বসেছেন নতুন নতুন অর্ডার।
জানা গেছে, গত ১৭ জুন আদমজি ইপিজেডের ভেতরে পাইলিং করার সময় তিতাস গ্যাসের পাইপ ফেটে যায়। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত শতাধিক শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় সাতদিন বন্ধ থাকে। এরপর গ্যাস চালু হলেও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
মিল মালিকরা জানায়, নারায়ণগঞ্জ ও আড়াইহাজারে গ্যাস নির্ভর শিল্প কারখানার সবগুলোতেই গ্যাসের সমস্যা চরমে। মারাত্মক এই সংকটের বিষয়টি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিল্প মালিকরা।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের অন্যতম বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান মিথিলা টেক্সটাইল। প্রায় ৪০ বিঘা জায়গার ওপর নির্মিত শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানটি গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এ ব্যাপারে মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মাহবুব খান হিমেল জানান, প্রায় তিন মাস ধরে গ্যাস সংকট চলছে, ধীরে ধীরে সেই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। যেখান ১৫ পিএসআইয়ের (প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) বেশি চাপ দরকার সেখানে চাপ এক পিএসআইয়ের নিচে নেমে এসেছে। বাধ্য হয়ে ডাইংয়ের পাঁচটি বার্নারের মধ্যে চারটি বার্নার বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সময়মতো পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। এতে ক্রেতার আস্থা ও বাণিজ্য হারাবে বাংলাদেশ, সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ব্যাহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
উৎপাদনের ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, একবার গ্যাসের প্রেশার চলে যাওয়ার ফেব্রিক্সের সিনক্রোনাইজ করে ফের চালু করতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। মেশিনের লেংথে থাকা হাজার হাজার গজ কাপড় নষ্ট হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে ‘তাদের’ (কর্তৃপক্ষ) তো কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস সংকটের শুরুর দিকে কয়েকবার তিতাত গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। তিতাসের এমডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তিতাসের এমডির সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি তাকে বুঝিয়েছি। তারাও কোন সমাধান দিতে পারছে না। আমার সঙ্গে ১৫ পিএসআইয়ের চুক্তি হলেও তা আমাকে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পথে বসে যাবো।
এদিকে বিকেএমই নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা যখন ৭.৬২ টাকা করে প্রতি ইউনিটের বিল দিতাম তখন বিল বাড়ানো হলো এবং বলা হলো এলএনজি ন্যাশনাল গ্রিডে ঢুকবে, ফলে গ্যাসের সংকট থাকবে না। এখন ইউনিট প্রতি ১৩.৫ টাকা বাড়তি বিল দিচ্ছি কিন্তু গ্যাসের সংকট কাটেনি। নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকায় ১৫ পিএসআই গ্যাসের প্রেশারের অনুমোদন থাকলেও ৫ পিএসআই’র বেশি পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) এস এম জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। গত জুনে আদমজি ইপিজেডের ভেতরে পাইলিং করার সময় গ্যাসের পাইপ ফেটে গিয়েছিলো। এখনও মেরামতের কাজ শেষ হয়নি, আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে। তখন মিল কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারবে।
নারায়ণগঞ্জে শিল্প কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। ফলে থমকে আছে টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন টেক্সটাইল মিল মালিকরা। হারাতে বসেছেন নতুন নতুন অর্ডার।
জানা গেছে, গত ১৭ জুন আদমজি ইপিজেডের ভেতরে পাইলিং করার সময় তিতাস গ্যাসের পাইপ ফেটে যায়। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত শতাধিক শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় সাতদিন বন্ধ থাকে। এরপর গ্যাস চালু হলেও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
মিল মালিকরা জানায়, নারায়ণগঞ্জ ও আড়াইহাজারে গ্যাস নির্ভর শিল্প কারখানার সবগুলোতেই গ্যাসের সমস্যা চরমে। মারাত্মক এই সংকটের বিষয়টি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিল্প মালিকরা।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের অন্যতম বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান মিথিলা টেক্সটাইল। প্রায় ৪০ বিঘা জায়গার ওপর নির্মিত শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানটি গ্যাস সংকটে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
এ ব্যাপারে মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মাহবুব খান হিমেল জানান, প্রায় তিন মাস ধরে গ্যাস সংকট চলছে, ধীরে ধীরে সেই সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। যেখান ১৫ পিএসআইয়ের (প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন) বেশি চাপ দরকার সেখানে চাপ এক পিএসআইয়ের নিচে নেমে এসেছে। বাধ্য হয়ে ডাইংয়ের পাঁচটি বার্নারের মধ্যে চারটি বার্নার বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সময়মতো পোশাক রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। এতে ক্রেতার আস্থা ও বাণিজ্য হারাবে বাংলাদেশ, সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ব্যাহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
উৎপাদনের ক্ষতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, একবার গ্যাসের প্রেশার চলে যাওয়ার ফেব্রিক্সের সিনক্রোনাইজ করে ফের চালু করতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। মেশিনের লেংথে থাকা হাজার হাজার গজ কাপড় নষ্ট হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে ‘তাদের’ (কর্তৃপক্ষ) তো কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস সংকটের শুরুর দিকে কয়েকবার তিতাত গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। তিতাসের এমডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তিতাসের এমডির সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি তাকে বুঝিয়েছি। তারাও কোন সমাধান দিতে পারছে না। আমার সঙ্গে ১৫ পিএসআইয়ের চুক্তি হলেও তা আমাকে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা পথে বসে যাবো।
এদিকে বিকেএমই নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা যখন ৭.৬২ টাকা করে প্রতি ইউনিটের বিল দিতাম তখন বিল বাড়ানো হলো এবং বলা হলো এলএনজি ন্যাশনাল গ্রিডে ঢুকবে, ফলে গ্যাসের সংকট থাকবে না। এখন ইউনিট প্রতি ১৩.৫ টাকা বাড়তি বিল দিচ্ছি কিন্তু গ্যাসের সংকট কাটেনি। নারায়ণগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকায় ১৫ পিএসআই গ্যাসের প্রেশারের অনুমোদন থাকলেও ৫ পিএসআই’র বেশি পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) এস এম জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। গত জুনে আদমজি ইপিজেডের ভেতরে পাইলিং করার সময় গ্যাসের পাইপ ফেটে গিয়েছিলো। এখনও মেরামতের কাজ শেষ হয়নি, আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে। তখন মিল কারখানাগুলো স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারবে।