রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ইভা (১৬) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নাহেদুল ইসলাম সায়েম (২০) ও শেখ মনিরুজ্জামান প্রিন্স (২২) এবং মেহেদী হাসান পলাশের (২২) দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনজনকে রংপুর আদালতে পাঠিয়েছে কাউনিয়া থানা-পুলিশ। গতকাল সোমবার কাউনিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এই তিনজনকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী ও কাউনিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত সেলিমুর রহমান জানান, প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদে ক্ষুব্ধ হয়ে সায়েম, প্রিন্স ও পলাশ তিনজন মিলে মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট ইভাকে ঘুরতে নিয়ে যায়। ওই রাতে উপজেলার হরিচরণ লস্কর গ্রামে রাস্তার পাশে ইভাকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে ফেলে যান হত্যাকারীরা।
ইভাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইভার বাবা ইব্রাহিম খান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ হত্যার মূল হোতা সায়েমকে ১৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করে। সায়েম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও দুজনের কথা জানান। সায়েমের তথ্যের ভিত্তিতে শেখ মনিরুজ্জামান প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গত রোববার পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য আসামি তিনজনের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তিনজনের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
কাউনিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত সেলিমুর রহমান বলেন, ‘নিহত ইভা কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে এবং পাশের পীরগাছা উপজেলার বড় দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।’
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে রিমান্ড শেষে আজ বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বেশি কিছুই বলা যাচ্ছে না।’