মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের কেয়ার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. পারভীন ফাতেমা। শনিবার রাতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। তারা চেয়ারম্যানের কক্ষের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পরে রাত ৮টার দিকে মেডিকেল কলেজে গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে একই দাবি করে। দাবির বিষয়ে গুরুত্ব না দিলে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন।
সকালে প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে অনেক ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তার একটিতে লেখা ছিল, ‘অনুমোদনহীন কলেজ কীভাবে চলে?’
জানা গেছে, বিএমডিসির শর্ত অনুযায়ী ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে নেই পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি, রোগী ও চিকিৎসক। শিক্ষক সংকট রয়েছে। কলেজ থেকে হাসপাতালের দূরত্বও অনেক।
কলেজ হাসপাতালটিতে ২৫০ শয্যা থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৭৯ শয্যা, সংকট রয়েছে আরও ৬১টি শয্যার। এসব কারণে কেয়ার তৃতীয় ব্যাচ থেকে বিএমডিসি কলেজটির অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে। এর পরিপেক্ষিতে মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা।