মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক গুরুত্বকে অনুধাবন করে আর্কটিক এলাকার জন্য একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, এই এলাকার নতুন সমুদ্রপথ এবং বিশাল তেল ও খনিজ সম্পদ উত্ত্বলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়া এই অঞ্চলে শত শত সোভিয়েত যুগের সামরিক সাইট পুনরায় খুলে দিয়েছে, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আর্কটিক পরিদর্শনের একদিন পর শুক্রবার বলেছেন, সেখানে রাশিয়ার সক্ষমতা 30-জাতি জোটের জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার 24 ফেব্রুয়ারী আক্রমণ, যাকে মস্কো একটি “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে অভিহিত করেছে, সারা বিশ্বে রাশিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
চীন নিজেকে “আর্কটিক-এর কাছাকাছি” রাষ্ট্র হিসাবে বর্ণনা করে, তারও এই অঞ্চলে উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং বলেছে যে তারা একটি “পোলার সিল্ক রোড” তৈরি করতে চায়। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সাথে বরফের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার কারণে চীনের খনিজ সম্পদ এবং নতুন শিপিং রুটের দিকে নজর রয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনেটের পরামর্শ এবং সম্মতি সাপেক্ষে আর্কটিক অঞ্চলের জন্য একজন রাষ্ট্রদূত মনোনীত করে মার্কিন সরকারের মধ্যে এলাকার গুরুত্ব বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করেছেন।
তবে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
“আর্কটিক অঞ্চল যেটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং সহযোগিতামূলক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত গুরুত্বের বিষয়।
মার্কিন মুখোপাত্র বলেন “আটটি আর্কটিক জাতির মধ্যে একটি হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, টেকসই উন্নয়ন ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এবং আর্কটিক রাজ্য, মিত্র দেশ এবং অংশীদারদের সাথে সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আটটি আর্কটিক দেশ হল কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।