মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেন্সর ছাড়পত্র পাচ্ছে না। কোনো চলচ্চিত্র এভাবে আটকে রাখাকে মুক্তচিন্তার জন্য বাধা মনে করে ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র দিয়ে মুক্তির দাবি জানিয়েছে নাটকের নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড।
রোববার সংগঠনটির পক্ষ থেকে ছবিটির মুক্তি দাবি করে প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করে। এতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, ‘সেন্সর বোর্ড এই সিনেমাটিকে সেন্সর ছাড়পত্র কেন দিচ্ছে না, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।’
প্রতিবাদপত্রে আরও জানানো হয়, প্রায় ধ্বংস হতে যাওয়া সিনেমা যে কয়েকজন পরিচালক এখনও আশার আলো দেখাচ্ছে, যে ক’জন পরিচালক আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশেষভাবে পরিচয় করাতে সক্ষম হয়েছে, তাদের মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অন্যতম। তার প্রায় সব সিনেমা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে গুরুত্বের সাথে প্রদর্শন করা হয়। অনেক সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের।
২০১৯ সালে ‘শনিবার বিকেল’ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪১তম আসরে রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার এবং কমেরসান্ত পুরস্কারসহ অনেক উৎসবে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়। এছাড়া বুসান ও সিডনিসহ অনেক উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পায় ছবিটি।
ডিরেক্টরস গিল্ড চায়, বাংলাদেশেও ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি দেখানো হোক। বাংলা সিনেমার উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ‘শনিবার বিকেল’-এর সেন্সর ছাড়পত্র না দেওয়ায় প্রতিবাদ জানালেন তারা। পাশাপাশি বর্তমান সেন্সর আইনের পরিবর্তে সেন্সর গ্রেডেশন পদ্ধতি চালুর দাবি জানায় সংগঠনটি।
২০১৯ সালে সেন্সর বোর্ডের সনদ পাওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’।
বিষয়টি নিয়ে সে সময় তুমুল লেখালেখি হলেও কোনও এক অজানা কারণে থমকে যায় এর ছাড়পত্র।
জাজ মাল্টিমিডিয়া, ছবিয়াল ও ট্যানডেম প্রোডাকশন প্রযোজিত ‘শনিবার বিকেল’-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ১২টি দেশের স্বনামধন্য অভিনেতারা। যার মধ্যে আছেন ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানি, ইউরোপের এলি পুসো, সেলিনা ব্ল্যাক, বাংলাদেশের মামুনুর রশীদ, জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, ভারতের পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।