লেমনগ্রাস বা থাই পাতা ঔষধি গুণে ভরপুর। থাই সুপ তৈরিতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। এজন্য লেমনগ্রাস আমাদের কাছে থাই পাতা নামে পরিচিত। এর সুগন্ধ লেবুর মতো। এই গন্ধ মনকে সজীব করে।
শুধু তাই নয়, লেমনগ্রাসের রয়েছে নানা উপকারিতা।
লেমনগ্রাসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফোলেট, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
লেমনগ্রাসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, লেমনগ্রাস মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কমাতেও বেশ কার্যকরী।
স্যুপ ছাড়াও লেমনগ্রাস খাওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-
লেমনগ্রাস চা : গবেষণায় দেখা গেছে, লেমনগ্রাস চায়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই চা ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীরে প্রদাহ কম হয়। লেমনগ্রাসে এমন যৌগ রয়েছে যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে লেমনগ্রাস চা খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে। এছাড়া বমি, পেট ব্যতার সমস্যাও কমে। মধুর সঙ্গে লেমনগ্রাস মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমে।
যেভাবে তৈরি করবেন লেমনগ্রাস চা : প্রথমে পাতাগুলি ভালোভাবে কেটে পষ্কিার করে নিন। পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে কাটা লেমনগ্রাস পাতা দিন। ৫-৭ মিনিট ভালোভাবে ফোটানোর পরে সেটি সেঁকে নিন। এবার এতে লেবুর রস, মধু দিন।
লেমনগ্রাস তেল : লেমনগ্রাসে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পনিতে ২ ফোঁটা লেমনগ্রাস তেল দিয়ে পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া এটি রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
তেল মালিশ : বাতের ভ্যতা কমাতেও লেমনগ্রাস তেলকে বিমেষ কার্যকরী হিসেবে ধরা হয়। এতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আর্থ্রাইটিসে ভালো ফল দেয়। ব্যথার জায়গায় কয়েক ফোঁটা লেমনগ্রাস তেল মালিশ করলে উপশম পাওয়া যায়।