পাকিস্তানে বন্যাদুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে নানা পানিবাহিত রোগ। বন্যায় ডুবে আছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিন কোটিরও বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডায়রিয়া চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং বয়স্করা।
এ অবস্থায় আরও ওষুধ এবং চিকিৎসকের সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন পানিবাহিত রোগে ভুগতে থাকা মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাকিস্তানের পাশে এগিয়ে এসেছে।
বিভিন্ন সরকারি ও বেসকারি সংস্থাও ত্রাণসহায়তা দিচ্ছে বন্যাদুর্গতদের। ত্রাণের গাড়ি দেখলেই সবাই ছুটছেন সেখানে। তবে অনেকেরই অভিযোগ ১৫ দিনের বেশি বন্যায় আটকা পড়ে থাকলেও পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা। তবে সরকারের দাবি তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সাহায্য করার।
পাকিস্তান সরকারের তথ্যমতে, চলমান বন্যায় বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির পাশাপাশি এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরহারা হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ। এমন অবস্থায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে সহায়তার জন্য ১৬ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ।