আবারও তাপমাত্রার রেকর্ড গড়লো ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস! বলা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরে পৃথিবীতে এতো তাপমাত্রা আর দেখা যায়নি। অবশ্য বছরের বেশিরভাগ সময়ই অসহনীয় গরম থাকে এলাকাটিতে। প্রতিকূল পরিবেশের জন্যই এর নাম ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যু উপত্যকা।
বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে শুধুই ধূসর মরুভূমি। যেদিকে চোখ যায়, বালু আর রুক্ষ পাথর, দেখা নেই সামান্য সবুজেরও। মৃত্যু উপত্যকা নামে পরিচিত এ এলাকায় প্রাণের অস্তিত্ব খুজে পাওয়াই কঠিন। পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত এলাকাটিতে এ মাসের প্রথম দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিশ্বে সেপ্টেম্বরে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
ডেথ ভ্যালির স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাবে ওয়াইনস বলেন, সেপ্টেম্বর মাস হিসেবে এখানে এখন অস্বাভাবিক গরম। এই এলাকার মাটি খুবই উত্তপ্ত। চারপাশের পাহাড়ের কারণে উত্তপ্ত বাতাস দূরে সরতে পারে না, তাই তাপপাত্রাও কমে না। আপনার ঘাম বের হওয়ার সাথে সাথেই তা বাষ্প হয়ে যাবে। আপনি ঘামছেন তা টেরই পাবে না।
অন্য এলাকায় ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই যেখানে হাঁসফাঁস জনজীবন, সেখানে এ এলাকার তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়ই থাকে ৫০ ডিগ্রির আশপাশে। জুন-জুলাইতে সর্বোচ্চ ৫৭ ডিগ্রির রেকর্ডও এখানকার।
ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত ডেথ ভ্যালির মাটি মূলত লবণাক্ত। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক স্থান হিসেবেও পরিচিত এটি। যে কারণে শতবছর ধরেই এর নাম ডেথ ভ্যালি বা মৃত্যুপুরী। অবশ্য অসম্ভবকে সম্ভব করা মানুষের বসতি আছে ডেথ ভ্যালিতে। উষ্ণতম তাপমাত্রার সাক্ষী হতে সেখানে যান পর্যটকরাও।
মাইক বুলার নামের এক পর্যটক বলেন, গোটা বিশ্বেই এখন তাপদাহ চলছে। তার মধ্যেই পৃথিবীর সবচেয়ে ঊষ্ণতম স্থানে আছি আমি। সত্যিকারের গরম কী সেটা এখানে এলে অনুভব করা যায়।
ইভান ডেরোবি নামের আরেক পর্যটক বললেন, আমি উত্তর ইউরোপে থাকি। এতো উচ্চ তাপমাত্রার সাথে আমি অভ্যস্ত নই। মাঝে মাঝে ইউরোপে খুব উষ্ণ তাপমাত্রা দেখা গেলেও সেটা এত বেশি না।
প্রসঙ্গত, মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেথ ভ্যালির আবহাওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক থাকে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কিছুটা কম থাকে তাপমাত্রা।