অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এসব অস্ত্র ব্যয়বহুল বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং ইউক্রেনের সংঘাত পেন্টাগনকে ওয়াশিংটনের মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রির সুবিধার্থে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করতে প্ররোচিত করেছে বলে এক সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি ক্রেতাদের কাছে মার্কিন তৈরি অস্ত্র দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার উপায় খুঁজতে আগস্টে তথাকথিত ‘টাইগার দল’ গঠন করা হয়। নতুন সংস্থাটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দুইজন আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স। পাশাপাশি পেন্টাগনের বিভিন্ন সার্ভিসের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন এই টিমে।
সূত্র অনুযায়ী, রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধের মধ্যে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের কারণে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। তবে তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং ইউরোপে মার্কিন মিত্রদের অস্ত্রাগার ফের পূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তার তাগিদে এই দিক নজর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ১৬০টি ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার মধ্যেই এই খবর সামনে এলো।
দেশটিতে অস্ত্র বিক্রির এ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য এসব অস্ত্র খুব জরুরি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে শুক্রবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এসেছে। তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে এ ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সম্প্রতি তাইওয়ান সফর করেন। তার ওই সফর নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা শুরু হয়।
তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। এমন পরিস্থিতিতেই তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে নতুন করে যে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে এর মধ্যে আছে ধেঁয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করার জন্য ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম।