ভারতে চারদিনের সফরের প্রাক্কালে নিজের দিল্লিতে বসবাসের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আত্মস্মৃতি রোমন্থন করেন তিনি।
ওই ঘটনার প্রায় পাঁচ দশক পরে এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। কথা বলেন কয়েক দশক ধরে যে যন্ত্রণা তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেটি নিয়ে।
অশ্রুসিক্ত নয়নে ১৯৭৫ সালের ঘটনাগুলোর বর্ণনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী, যখন জার্মানিতে স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন তিনি। ওই বছরের ৩০ জুলাই শেখ হাসিনা ও তার বোনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এটি ছিল একটি প্রাণবন্ত বিদায়। শেখ হাসিনার কোনও ধারণা ছিল না যে মা-বাবার সঙ্গে এটিই তার শেষ সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়গুলোর একটির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার স্বামী বিদেশে থাকায় আমি একই বাড়িতে (মা-বাবার সঙ্গে) থাকতাম। ফলে সেদিন সবাই সেখানে ছিলেন। আমার বাবা, মা, আমার তিন ভাই, দুই নববিবাহিত বোন, সবাই ছিলেন। সব ভাইবোন এবং তাদের স্বামী-স্ত্রী। তারা আমাদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন। আমরা বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আপনি জানেন, সেই দিনটিই ছিল শেষ দিন।