টক দই শরীরের জন্য দারুন উপকারী। গরমে শরীর থেকে যে পানি বের হয় তা পূরণ করতে টক দইয়ের উপর ভরাসা করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। আয়ুর্বেদেও টক দইটিকে অমৃত হিসাবে মনে করা হয়। গরমের সময় টক দই বিভিন্ন উপায়ে উপকারী।
টক দইয়ে শরীরের জন্য উপকারী ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়। গরমকালে টক দই খেলে যে শুধু শরীর ঠান্ডাই থাকে তাই নয় এর পাশাপাশি খাবারও হজম হয়। রোজ এক বাটি টক দই খেলে শরীর ডিটক্স হয়ে যায়।
তবে এমন কয়েকটি খাবার আছে যা টক দইয়ের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, দইয়ের সঙ্গে এই খাবারগুলি খেলে শরীরে টক্সিন সৃষ্টি হয় যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহজেই দুর্বল হয়ে পড়ে। টক দইয়ের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়-
টক দই ও পেঁয়াজ : গরমের সময় রায়তা খেতে পছন্দ করেন প্রায় সকলেই। তবে আয়ুর্বেদ মতে, এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ ও পেঁয়াজ এক সঙ্গে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ, টকদই এমনিতেই ঠান্ডা আর পেঁয়াজ শরীরে তাপ উৎপাদন করে। তাই এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ঠান্ডা এবং গরমের মিশ্রণে ত্বকেরও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই খাবার না খাওয়াই ভালো।
আমের সঙ্গে দই : রমকালে আমের সঙ্গে দই খেতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে, ভুলেও আমের সঙ্গে টক দই খাওয়া ঠিক নয়। এই খাবার একসঙ্গে খেলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আসলে এই খাবার দুটি একে অপরের থেকে ভিন্ন। এ কারণে হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
মাছ ও দই একসঙ্গে কখনই নয় : আয়ুর্বেদ মতে, দইয়ের সঙ্গে মাছ খেতে নেই। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরে কু প্রভাব পড়ে ও নানা রোগ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছ ও দই দুটোই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। এতেবদহজমসহ পেটর নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে দই : অনেকে আলুর পরোটার সঙ্গে টকদই খান। আয়ুর্বেদ মতে, এ ভাবে খাওয়া উচিত নয়। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। টক দইয়ের সঙ্গে তেল-ভাজা পোড়া খাবার হজমশক্তি আরও কমিয়ে দেয়। এতে পেট ফুলে যেতে পারে। ফলে ক্লান্ত অনুভব হয়ে ওঠে সহজেই।