বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা এবং অন্য যে সমস্যাগুলো আছে, তা এই আওয়ামী লীগ সরকার এখন পর্যন্ত সমাধান করতে পারেনি। তারা ব্যর্থ। জনসমর্থনহীন সরকার বলেই এসব অভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না তারা।
মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো প্রতিবার আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয়নি। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন দিত, তাহলে প্রত্যেকটি কাজই হয়ে যেত। আবারও বলছি, প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসুন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী কী আনতে পারছেন, সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।
ভারতের বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে এক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগের যে বক্তব্যগুলো এবং এই সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীদের যে বক্তব্য, তাতে এটা খুব স্পষ্ট- ওরা যেভাবেই রিসিভ (অভ্যর্থনা) করুক, তারা যাবে এবং সেটা নিয়ে তাদের খুব একটা বড় রকমের সমস্যা থাকবে না। এই সরকার একেবারে একটা নতজানু সরকার। এই সরকারের তাদের বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকা কঠিন আছে।
মিয়ানমার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিয়ানমার বারবার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করে মর্টার মারছে, গোলা মারছে। তবে নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে কিছু করার সাধ্য সরকারের নেই।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।