রংপুরের গংগাচড়ায় মিছিলে বাধা দেয়ায় পুলিশের সাথে যুবদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৬০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে।
যুবদল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মিছিল বের করে উপজেলা যুবদল। এতে বাধা দেয় পুলিশ। তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় যুবদল নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে যুবদল নেতাকর্মীরা ও পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। শুরু হয় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। পরিস্থিতি থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আধা ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক স্বপন, সুজন, লিটন, সাজু, দুলালসহ ৬০ জন যুবদল নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজমুল আলম নাজু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ নির্বিচারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, রাবার বুলেট এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের ৬০ জন নেতাকর্মী আহত এবং অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা তাদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ সরকার পুলিশ দিয়ে যুবদল নেতাকর্মীদেরকে নির্মূল করতে চাইছে কিন্তু প্রত্যেকটা নেতাকর্মী রক্ত দেবে তবুও মাঠ ছাড়বে না বলে জানান তিনি।
গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মিয়া জানান, মিছিল থেকে কোনো কারণ ছাড়াই যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশের উদ্দেশে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনিসহ ১০ জন পুলিশ আহত হয়েছে বলে জানান ওসি।