রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের নতুন রাজা হয়েছেন তার বড় ছেলে চার্লস। তিনি প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে এতদিন পরিচিত ছিলেন। শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নিজেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন। লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার সময় রাজ পরিবারের টুইট বার্তায় চার্লসকে রাজা ও তার স্ত্রী ক্যামিলাকে ‘দ্য কুইন কনসোর্ট’ বলে উল্লেখও করেছে। এবার জেনে নেওয়া যাক, ব্রিটেনের রাজপরিবারের সর্বাধিনায়ক হলে কী কী ক্ষমতা থাকে, যা সব দেশের ক্ষমতাশীলদেরও থাকে না!
ব্রিটেনের রাজা বা রানির কোনও পাসপোর্টেরও প্রয়োজন নেই। বিনা পাসপোর্টেই বিদেশ ভ্রমণের অধিকার রয়েছে তাদের। সেদেশে কোনও খসড়া আইনকে বলবৎ করতে হলে রাজা/রানির স্বাক্ষর ছাড়া তা সম্পূর্ণ হবে না। পাশাপাশি তাদের কোনও ট্যাক্সও জমা দিতে হয় না।
এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টিগা, বারবুডা, বাহামাস, বারবাডোস, কানাডা, গ্রেনাডা, জ্যামাইকা, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেইন্ট লুসিয়া, সেইন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস, সলোমন আইল্যান্ডস এবং টুভালু হেড অব স্টেট- এর সরকার প্রধানকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রয়েছে ব্রিটেনের রাজপরিবারের সর্বাধিনায়কদের।
ব্রিটেনে যিনি রাজা বা রানির পদে থাকবেন তার টাইটেলটি হলো ‘ডিফেন্ডার অব দ্য ফেইথ অ্যান্ড সুপ্রিম গভর্নর অব দ্য চার্চ অব ইংল্যান্ড’। এবং তিনি সবসময়ই আইনের ঊর্ধ্বে এবং তিনি আদালতে কোনও প্রমাণপত্র জমা দিতে বাধ্য নন।