শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বয়:সন্ধিটা এমন একটি সময়, যখন তাদের মধ্যে শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। তারা সব সময় সঠিক তথ্য পায় না। তাদেরকে পিতা-মাতাও সঠিকভাবে সবসময় বুঝান না এবং পাঠ্য বইয়ে যা আছে তাও সঠিকভাবে জানানো হয় না। এই যে গত দু’বছর অতিমারি গেল, তখন অনেক ধরণের সমস্যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা অতিবাহিত করেছেন। আবার ইন্টারনেটে যে গেম আছে, সেগুলোরও সমস্যা আছে। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই কমবয়সীদের মধ্যে একটি আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতারোধে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত দুইজন কাউন্সিলিং এর শিক্ষক রাখা হবে। সেজন্য সারা দেশে ২ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আশাকরি কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো দূর করতে পারবো।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দীপু মনি বলেন, বাবা-মায়েদেরকে বলবো, এই বয়সী ছেলে-মেয়েরা অনেক সংবেদনশীল। তাই সংবেদনশীল মন নিয়েই তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। তাছাড়া মেয়েরা অনেক সময় ইভটিজিং এর শিকার হয়। সেই সমস্যার কথা যদি পরিবারের কাছে বলতে না পারে, তার শিক্ষকদের কাছে বলতে না পারে, তখনই কিন্তু তার যে চাপা অর্থাৎ আবেগ থাকে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আত্মহননের মধ্য দিয়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব রহমানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।