গত কয়েক দিনে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর তড়িৎ অভিযানকে অবিশ্বাস্য বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুশবিষয়ক বিশেষজ্ঞ নিকোলাই মিত্রেখিন বলেছেন, ‘চার দিনের মধ্যে ইউক্রেন রুশ সেনাবাহিনীর চার মাসের সফলতা মুছে দিয়েছে। আর এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
অবশ্য, রুশ সীমান্তের পশ্চিমে এবং বিচ্ছিন্ন লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের উত্তরে ইউক্রেনের সাফল্য লাভের গতি ও সাবলীলতা নিয়ে প্রশ্নও ওঠেছে।
রুশরা তাদের কোনো গোলন্দাজ বা সাজোয়া যান পেছনে ফেলে যায়নি। অত্যন্ত দুর্ভেদ্য এলাকা থেকে তাদের পিছু হটা ব্যাপক যুদ্ধের পর আতঙ্কিত বাহিনীর পশ্চাদপসরণের মতোও হয়নি বলে ইউক্রেনের সামরিক প্রতিবেদন ও ওই এলাকার ভিডিওচিত্রগুলোতে দেখা গেছে।
মিক্রেখিনের মতে, ক্রেমলিন পরিকল্পিতভাবেই এই পিছু হটেছে এবং তাদের জনশক্তি ও অস্ত্রসম্ভার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে আসা নির্দেশেই সম্ভবত রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এই বাহিনীকে দনেটস্ক ও সম্ভবত লুহানস্ক সীমান্তে ব্যবহার করবে।
তবে অন্য বিশেষজ্ঞরা এমনটি মনে করছেন না। তাদের মতে, রুশ বাহিনী ছিল খুবই দুর্বলভাবে প্রশিক্ষিত। তাদের কোনো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল না। বেসামরিক লোকজনের মধ্য থেকে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। তারা এ কারণে জীবনের ঝুঁকি নিতে চায়নি। রুশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইউরি ফিয়োডোরভ নভায়া গাজেটা ডেইলিতে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
রুশ বাহিনীর ব্যাপক হতাহত তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে বলে মনে করেন অনেকে।