নরসিংদীর শিবপুরে সোনার চেইন ও কানের দুলের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি এক নারীর বিরুদ্ধে।
হত্যার পর শিশুর মরদেহটি বস্তাবন্ধি করে আলমারির ভেতরে রেখে দেন অভিযুক্ত নারী। নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারী সেলিনা ও তার রিকশা চালক স্বামী হানিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত সায়মা আক্তার শিবপুর উপজেলার যোশর গ্রামের সারোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রী।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ফিরে দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর সায়মা খেলতে বের হয়। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারপাশে খুঁজতে খুঁজতে প্রতিবেশি হানিফের বাড়িতে যান সায়মার স্বজনরা। সেখানে অভিযুক্ত নারীর শিশু কন্যা রাইসার কাছে সায়মার খোঁজ জানতে চাইলে সে জানায়, তার মা সেলিনা সায়মাকে মেরে লাশ বস্তাবন্ধি করে আলমারির ভেতরে রেখে দিয়েছে। পরে নিহতের স্বজনরা আশপাশের লোকজন নিয়ে অভিযুক্ত সেলিনার ঘর থেকে সায়মার লাশ উদ্ধার করে। পরে তাদের গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে শিবপুর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় অভিযুক্ত সেলিনা ও তার স্বামী হানিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নিহত সায়মার বাবা সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ফিরে আমার মেয়ে খেলতে বের হয়। তখন তার গলায় একটি চেইন ও কানের দুল ছিল। পার্শ্ববর্তী সেলিনা আমার মেয়ের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় আমার মেয়ে আমাদেরকে বলে দেবে জানালে সেলিনা তাকে গলা টিপে হত্যা করে। লাশ বস্তাবন্ধি করে আলমারির ভেতরে রেখে দেয়। পরে তার শিশু মেয়েই আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
শিবপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া জানান, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে হত্যার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশ গিয়ে হানিফ ও সেলিনার ঘর থেকে বস্তাবন্ধি লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় অভিযুক্ত নারী ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।