চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নাপোলির মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছিল লিভারপুল। তারপর মঙ্গলবার রাতে ছিল ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ। শেষ মুহূর্তে এসে অলরেডসদের মুখে হাসি ফোটান জোয়েল মাতিপ। এতে করে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে য়্যুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন ভাগ্য না বদলালেও বদলেছে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলের ভাগ্য। মৌসুমে প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অলরেডসরা। গেল ম্যাচে নাপোলির সঙ্গে বিধ্বস্ত হবার পর এ যেন স্বস্তির পরশ অ্যানফিল্ডে।
অ্যানফিল্ডে লিড নিতে সময় নেয়নি য়্যুর্গেন ক্লপ শীষ্যরা। ম্যাচের ১৭ মিনিটে দিয়োগো জোতার পাসে সফল ফিনিশিং মোহামেদ সালাহর। বক্সের বাইরে থেকে ডানে ফাঁকায় দাঁড়ানো সালাহকে পাস দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোতা। বাঁ পায়ের শটে গোল করেন সালাহ।
তবে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দ ১০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়নি। আয়াক্সকে সমতায় ফেরান মোহামেদ কুদুস। বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠেছিল আয়াক্স। বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়ার পর ফাঁকায় পেয়ে যান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মোহাম্মদ কুদুস। শরীরটা ঘুরিয়েই গোলার মতো শট নেন। গোল! এরপর আয়ক্স গোলরক্ষক রেমকো পাসফিরের পরীক্ষা নিয়েছে ভার্জিল ফন ডাইক, অ্যালেক্জান্ডার আর্নল্ড, মোহামেদ সালাহরা।
তবে শেষ বাশির আগে আর রক্ষা হয়নি। লিভারপুলের ত্রাতা হয়ে আসেন জোয়েল মাতিপ। অলরেডদের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন জার্মান সেন্টার ব্যাক। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুলের হয়ে এ নিয়ে ১০ গোল করলেন মাতিপ। যে ১০ ম্যাচে গোল পেয়েছেন তার মধ্যে একটিতেও হারেনি লিভারপুল (৯ জয়, ১ ড্র)। গতরাতে তো গোলের জন্য আরও মরিয়া ছিল ক্লপের দল।