দেশটির নাম সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে বেশিরভাগ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা দুবাই নামেই চেনেন। কারণ বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরীর একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর। একারনেই দুবাই নামটি বহুল ব্যবহৃত সবার কাছে।
পর্যটকদের মুগ্ধ রাখতে দুবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ একের পর এক আকর্ষণীয় অবকাঠামো তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে। সম্প্রতি বুর্জ খলিফাকে কেন্দ্র করে ঝুলন্ত ভবন নির্মানের পরিকল্পনার কথা জানা যায়। সেই সংবাদের পরপরই এবার বড় চমক হিসেব ‘মুন ওয়ার্লড রিসোর্ট’ বা সংক্ষেপে ‘মুন রিসোর্ট’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪০ হাজার কোটি টাকা।
চাঁদটি নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কানাডার একটি নির্মাণসংস্থাকে। সংস্থাটির কর্মকর্তা মাইকেল হেন্ডারসন জানান, প্রকাণ্ড গোলকের মতো দেখতে এই স্থাপত্যের উচ্চতা হবে প্রায় ৭৩৫ ফুট। গোলক নির্মাণে ব্যবহৃত হবে কংক্রিট, স্টিল, কাচ, অ্যালুমিনিয়াম ও কার্বনফাইবার। ভিতরে থাকবে বিলাসবহুল হোটেল, স্পা, কৃত্রিম লেগুন ও রেস্তরাঁর মতো হরেক রকমের বন্দোবস্ত। বিনোদন ও পর্যটনের বাইরেও থাকবে ‘স্কাই ভিলা’ নামের ৩০০টি আবাসনও।
স্থাপত্যশিল্পীদের দাবি, প্রতি বছরে সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি মানুষ থাকতে পারবেন এই গোলকের ভিতর।
প্রজেক্ট সম্পর্কে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, শুধু দেখার জন্য নয়, পর্যটকরা যাতে সত্যিই মহাকাশ ভ্রমণের মতো অনুভূতি পান, তার জন্য ‘লুনার কলোনি’ বলে একটি বিশেষ রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছেন বলেও দাবি স্থাপত্যশিল্পীদের। সেখানে বছরে ২১ লক্ষ পর্যটক থাকতে পারবেন। মহাকাশযানের আদলে একটি বিশেষ যান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থা। প্রতি বছর এই রিসর্ট থেকে ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা প্রশাসনের।
সম্প্রতি দুবাইয়ে ভ্রমণে এসেছে সিলেটের একটি টিম। সেই টিমের একজন জুলফিকার তাজুল। তিনি ইনকিলাবকে বলেন, দেশে সবসময়ই আমরা ভাই ব্রাদাররা মিলে ভ্রমণ করি। উদ্যোগ নিয়ে দুবাই ভ্রমনে আসি কয়েকদিনের জন্য। দুবাই সরকার কৃত্রিমভাবে চাকচিক্যময় এক স্বপ্নের নগর তৈরি করে রেখেছে। সত্যি খুবই মনোমুগ্ধকর। কমবেশি প্রত্যেকটা স্পটেই চষে বেড়াচ্ছি।
দুবাইয়ে আরেকটি বিস্ময়কর খবর জানতে পারলাম “দুবাই মুন” নামের একটা রিসোর্ট নির্মাণ হচ্ছে। যেখানে ভ্রমণ করলে চাঁদে যাওয়ার অনুভূতি পাওয়া যাবে। এটা নির্মাণ হলে আবারও আসবো প্রিয় জাদুর শহরে।