আবারও অস্থির হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম ও সবজির। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। এমন অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতি নিয়ে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে কেজিপ্রতি চিকন চালের দাম বেড়েছে দুই টাকা। বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে, মিনিকেট ৭৪ থেকে ৭৭ টাকা এবং নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ঊর্ধ্বমুখী সবজি, ডিম ও মুরগির দাম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় এবং শুকনা মরিচের ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।
এ সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২১০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তাছাড়া প্রতি কেজি শসার দাম ৯০ টাকা। প্রতি কেজি পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৭০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা ও বরবটি ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শিম। টমেটো ও গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে এবং লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
এদিকে, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকায়, প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকায় এবং লাল চিনি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।