রাজা হওয়ার নানা রকম সুবিধা আছে। মাথার উপর ছাদ নিয়ে চিন্তা না করাটা তার মধ্যে একটি। রাজা তৃতীয় চার্লসের সুপরিচিত কিছু প্রাসাদের বাইরেও পরিপাটি বেশ কিছু কটেজ রয়েছে। রাজকীয় মান অনুসারে সেগুলোও পরিমিত।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক আন্না হোয়াইটলক বলেছেন, যুক্তরাজ্য যখন জীবনযাত্রার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে তখন রাজ পরিবারের একাধিক বাসস্থানের চিন্তাধারা করা বেশ কঠিন। রাজা নিজেও এ বিষয়ে সচেতন বলে মনে করা হয়। আশা করা হচ্ছে, তিনি অনেক মানুষের থাকার ব্যবস্থা করবেন।
তবে রাজা নিজে কোন প্রাসাদে থাকবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ৭৭৫ কক্ষবিশিষ্ট বাকিংহাম প্যালেস রয়েছে। প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানে অন্তত ৫০ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এছাড়া উইন্ডসর ক্যাসেল, দ্য প্যালেস অব হলিরুড হাউস, হিলসবার্গ ক্যাসেল, হাইগ্রোভ হাউস, স্যান্ড্রিংহাম হাউস, বালমোরাল, ক্লারেন্স হাউস, লিনিওয়ারমোদ, ডামফ্রিজ হাউস, ক্যাসল অব মে এবং তামারিস্ক হাউস রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, রাজা তৃতীয় চার্লস নিজের বাসস্থান স্বল্প জায়গার ওপর রাখতে চান।
প্রয়াত রানি উইন্ডসর ক্যাসেলে সপ্তাহান্তে সময় কাটাতেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় তাঁর প্রধান বাসস্থান হয়ে ওঠে এটি। সেই জায়গাটি রাজা বসবাসের জন্য বেছে নেন কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন চলছে।