অকারণে জবরদস্তি করে ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ দেওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রতি শিক্ষার্থীকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে প্রেরিত নোটিশে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের ব্যবধানে ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তীব্র সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েন ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল রহমানসহ জেলা প্রশাসন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক, অহেতুক বহিষ্কার আদেশ দেওয়া পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নুসরাত জাহানকে ইমেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার (আইসিটি শাখা, ফ্রন্ট ডেস্ক (ই-সেবা কেন্দ্র), মিডিয়া সেল,ই-নথি বিষয়ক (ওয়েবপোর্টাল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব গণমাধ্যমে বলেন, গত বৃহস্পতিবার অকারণ ও জোর জবরদস্তি করে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান। পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের ব্যবধানে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া অমানবিক এবং নিপীড়ন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
সহকারী কমিশনার ইসমাইল রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৯ পরীক্ষার্থীর প্রতি চরম অন্যায় করেছে বলে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা প্রতীয়মান হয়েছে। ফলে ওই ৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যে ঘটনায় সারা দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নোটিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ আদালতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইনজীবীরা।
এদিকে উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরপর ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহানকে মৌখিকভাবে তলব করেছে জেলা প্রশাসন। সমালোচিত ঘটনায় গণমাধ্যমে মতামত দেওয়ায় নুসরাত জাহানকে শাসানো হয়েছে বলে একটি গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে নারাজ শিক্ষিকা নুসরাত জাহান।