শক্তিশালী টাইফুন নানমাদোলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা। স্থানীয় সময় রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জাপানের কিউশু অঞ্চলে আঘাত হানে টাইফুন নানমাদোল। প্রায় দেড়শ মাইল গতিবেগে আঘাত হানে ঝড়টি।
এর প্রভাব পড়ে মিয়াজাকি, শুকোকুসহ আরও ৪টি অঞ্চলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ঘরবাড়ি এবং স্থাপনা। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ৮০ লাখ মানুষকে। নানমাদোলের গতিপথ ঘুরে জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশু অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
ফলে বুলেটসহ আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে অন্তত ৫১০টি ফ্লাইট। প্রায় ৩০ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সরকার। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) দক্ষিণাঞ্চলের কিউশু দ্বীপের কাগোশিমা অঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস হিসাবে কয়েক দশকের মধ্যে এ ধরনের সতর্কতা দেওয়া হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় টাইফুন নামে পরিচিত।
রোববার সকাল নাগাদ দেশটির কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি এলাকার ২৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের প্রভাবে আঞ্চলিক ট্রেন, ফ্লাইট ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে মিয়াজাকির কিছু আশ্রয়কেন্দে তিল ধরার যায়গা নেই। জেএমএ বলছে, এ এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবে নজিরবিহীন বিপদ তৈরি হতে পারে।
জেএমএ’র পূর্বাভাসবিষয়ক বিভাগের প্রধান রিউটো কুরোরা শনিবার বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি খুবই বিপজ্জনক। এটি প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাতাস এত জোরে বইছে যে কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হতে পারে।
কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাগোশিমার প্রায় বাড়িঘরগুলোতে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে পশ্চিম আলাস্কায় আঘাত হানতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। ইতোমধ্যে বিশাল জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। মার্কিন আবহাওয়া পূর্বাভাসে স্থানীয় সময় শনিবার এ কথা জানানো হয়।