ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশ ‘বিপজ্জনক ও বিরক্তিকরভাবে’ এগিয়ে গিয়ে বর্তমানে একটি ভয়ংকর বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনে রাশিয়া কর্তৃক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আভাসের পর এই বিষয়ে সতর্ক করে এই মন্তব্য করেন।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশ একটি ভয়ংকর রক্তপাতের অন্তহীন চক্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
গুতেরেস বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলেছি, এই বিবেক–বুদ্ধিহীন যুদ্ধের ইউক্রেন এবং সারা বিশ্বেরই ভয়ানক ক্ষতি করার সীমাহীন আশঙ্কা রয়েছে। পারমাণবিক সংঘাতের ধারণা একসময় অকল্পনীয় হলেও বর্তমানে তাই আলোচনা এবং বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে।’ পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিজেই সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। ঝুঁকি হ্রাসে সমস্ত পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের উচিত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার না করা এবং এসব অস্ত্র নির্মূলে পুনরায় অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি দেওয়া।’
এদিকে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানিয়েছেন রাশিয়ার মোট সেনার মাত্র ১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ লাখ সৈন্য পাঠানো হবে ইউক্রেনে।
, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় আজ বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জানান—রিজার্ভে থাকা সৈন্যদের মধ্য থেকে ৩ লাখ সৈন্য পাঠানো হবে ইউক্রেনে।
বুধবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেন, এটি রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পশ্চিমারা রাশিয়াকে দুর্বল ও ধ্বংস দেখতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। জবাবের জন্য সব অস্ত্র প্রস্তুত আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুতিন।