যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ঐতিহাসিক দাস ব্যবসার আয় থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি সরাসরি এ অমানবিক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল না বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কখনও দাসদের মালিক ছিল না বা এ ব্যবসার সাথেও সম্পৃক্ত ছিল না বলে তারা নিজেদের তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, তারা দাসত্ব থেকে ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুবিধা’ পেয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব সুবিধা বা নগদ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উপকারকারী’দের কাছ থেকে এসেছিল যারা দাস ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতো। দাস ব্যবসায় সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ এবং দাস ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবারগুলির কাছ থেকে পাওয়া ফি এর মাধ্যমে অর্থ বা সুবিধা পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গবেষকরা দেখেছেন, কেমব্রিজ কলেজের ফেলোরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে জড়িত ছিল। অন্যদিকে রয়েল আফ্রিকান কোম্পানির বিনিয়োগকারীদেরও কেমব্রিজের সাথে সম্পর্ক ছিল। অথচ এই দুটি কোম্পানিই ক্রীতদাস ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিল।
উভয় কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অনুদানও পেয়েছিল কেমব্রিজ। এছাড়া ক্রীতদাস ব্যবসায় সক্রিয় সাউথ সি কোম্পানিতে সরাসরি বিনিয়োগ করেছিল কেমব্রিজ।
লিগেসিস অব স্লেভমেন্ট নামের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের আর্থিক সম্পৃক্ততা দাস ব্যবসাকে সহজ করতে সাহায্য করেছিল এবং কেমব্রিজে খুব গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সুবিধা এনেছিল।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে দাসপ্রথার ভূমিকা ও কীভাবে এ অমানবিক ব্যবসা থেকে তারা উপকৃত হয়েছিল তা সম্প্রতি পুনর্মূল্যায়ন করছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে চার্চ অব ইংল্যান্ড পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এরইমধ্যে ক্যামব্রিজ কর্তৃপক্ষ দাস ব্যবসা থেকে লাভবান হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলো।