হলের সিট নিয়ে দ্বন্দ্ব ইডেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সহ-সভাপতির। এরই জেরে সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে আটক ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়ার বিরুদ্ধে।
এই বিভক্তি থেকেই শুরু হয় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল। এর পর একে একে বেরিয়ে এসেছে সিট বাণিজ্য, দলাদলি, সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ।
নিজের ওপর হামলার বিচার দাবি করেছেন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। তার অভিযোগ, মারধর করে তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া।
সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস অভিযোগ করে বলেন, রাজিয়া ও রিভা আপুর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিকভাবে মিলছে না। আমি দুই একটা জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু লেখক দাদা তো ফোনই ধরছেন না। আমার ওপর হামলার যদি বিচার না হয় তবে আগামীকালের মধ্যে আমি আত্মহত্যা করব।
এতেই দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে ইডেনের ছাত্রলীগ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তোলে জান্নাতুল ফেরদৌসের সমর্থনে থাকা মেয়েরা। উঠে আসে সিট বাণিজ্য, দলাদলি, সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতন, অবৈধ কাজের প্রস্তাবের মতো গুরুতর সব অভিযোগ।
অন্যদিকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের পক্ষেও জড়ো হয় অনেকে। তারা চান জান্নাতুল ফেরদৌসের অপসারণ। এ বিষয়ে ইডেন কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাসের হল সুপার নাজমুন্নাহার বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বসে এখন আমরা চিন্তা করব কী করা যায়। দুপক্ষ কী চায় সেটা বসে ঠিক করব।
এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা জানান হল সুপার।