মন্দিরা চক্রবর্তী। অভিনেত্রী, মডেল ও নৃত্যশিল্পী। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’র কাজ। এ সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে-
‘কাজল রেখা’ সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
পছন্দের গল্প, চরিত্র ও গুণী নির্মাতার সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে। যে জন্য কাজটি করে বেশ ভালো লেগেছে। শুটিং ইউনিটে আমিই জুনিয়র ছিলাম বলে সবার সহযোগিতা পেয়েছি। ‘কাজল রেখা’ রূপকথার গল্প। কয়েকশ বছর আগের গল্পে রহস্যময় একটি ব্যাপার আছে। তখন মানুষের জীবনধারা অন্য রকম ছিল। এ জন্য অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কাজটি ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং।
কখনও কি ভেবেছিলেন, ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমায় গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজের সুযোগ মিলবে?
এটা সত্যি যে নাটক, টেলিছবি ও অল্পস্বল্প মডেলিংয়ে কাজ করলেও সেলিম ভাইয়ের [গিয়াস উদ্দিন সেলিম] মতো একজন গুণী নির্মাতার ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাব- কখনোই ভাবিনি। তাঁর সঙ্গে ছোট একটি প্রজেক্টে কাজ করেছিলাম। একদিন তিনি আমাকে রিহার্সালে ডাকেন। এক বছর গ্রুমিংও করেছি। তাঁর হাতে তখন দুই ছবির কাজ থাকলেও আমি জানতাম না, কোন ছবিতে অভিনয় করছি। এক বছর পর তিনি ‘কাজল রেখা’য় অভিনয়ের যখন প্রস্তাব দিলেন, তখন খুশিতে আত্মহারা হয়েছিলাম। তাঁর সিনেমায় কাজ করা স্বপ্নের মতো একটা ব্যাপার।
শুটিং সেটে কারও মুখে আপনার অভিনয়ের প্রশংসা শুনেছেন?
টাঙ্গুয়ার হাওরে শুটিংয়ের শেষ দিন সেলিম ভাই আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘মন্দিরা, তুই তো অভিনয়টা শিখে গেলি।’ কথাটি তিনি অনেকবার বলেছেন। সিনেমায় কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার অভিনয় সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। আসলে আমি কেমন করছি, এটি ভেবে বেশ নার্ভাস ছিলাম। শুটিং শেষে জানলাম, অভিনয় শিখে গেছি। নির্মাতার প্রশংসা পেলাম একেবারে শেষ দৃশ্যে। এটি আমার পরম পাওয়া, যা আমাকে অন্য রকম ভালো লাগায় ভরিয়ে দিয়েছে।
নতুন সিনেমায় অভিনয় নিয়ে কিছু ভাবছেন?
‘কাজল রেখা’ মুক্তির পর দেখতে চাই পর্দায় আমাকে কেমন লাগে। দর্শক আমার অভিনয় কীভাবে নিচ্ছেন। এসব কিছুর ওপর নির্ভর করছে পরবর্তী কাজের সিদ্ধান্ত। আমি অনেক কাজ করে ফেললাম, কিন্তু দর্শক আমাকে সেভাবে গ্রহণ না করলে সেটি ভালো লাগবে না।