আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে নিগার সুলতানা বাহিনী। আগেই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী টাইগ্রেসরা এ শিরোপা জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েরা বাছাইপর্বে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ১২০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে। ফলে ৭ রানে ম্যাচ জিতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের বোলারদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রুমানা আহমেদ। দুইটি করে উইকেট নেন সানজিদা আক্তার মেঘলা, শিউলি আক্তার ও নাহিদা আক্তার। আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় দশ দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ।এর আগে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ রানে ১১ রানে ম্যাচ জিতেছিল টাইগ্রেসরা। আজ রবিবার মুরশিদা খাতুনকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন ফারজানা হক পিংকি। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন মুরশিদা। অপরপ্রান্ত আগলে রেখে ফারজানা হক ৫৫ বলে ৬১ রান করেন। যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান।
ফারজানার পর রুমানা আহমেদ দ্বিতীয় টাইগ্রেস ব্যাটার হিসেবে দুই অংকের ঘরে পৌঁছান। তিনি ২০ বলে ২১ রান করে আউট হন। অপর বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে নিগার সুলতানা ৬, সুবর্ণা মুশতারি ৬, ঋতুমনি ৯, সালমা খাতুন ও নাদিয়া আক্তার ৩ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ৪ রান। ১২০ বলে টাইগ্রেসরা ১২০ রান করে আয়ারল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। বল হাতে আয়ারল্যান্ডের লরা ডিলানি ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। কারা মুরারি ২১ রান দিয়ে ২টি ও আরলিনি কেলি ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ২৪ রানে তিন উইকেট হারায় আইরিশরা। বাংলাদেশের হয়ে সানজিদা আক্তার মেঘলা দুইটি এবং নাহিদা আক্তার একটি উইকেট শিকার করেন। ব্যক্তিগত ১৮ রানে রুমানা আহমেদের বলে এমিয়ার রিচার্ডসন সাজঘরে ফিরেন। তাতে দলীয় ৪৭ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। দলের খাতায় ১ রান করতেই আউট হন রেবেকা স্টোকেল।
এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিল বাংলার মেয়েরা। এছাড়া ২০১৪ সালে স্বাগতিক হিসেবে ও ২০১৫ সালে বাছাইপর্বে রানার্স-আপ হয়ে খেলেছিল বিশ্বকাপে।