ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজেদের দশম ম্যাচে বার্বাডোজ রয়্যালসকে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। এতে পাঁচ জয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত করেছে গায়ানা। আজও বল-ব্যাটে পারফ্যামেন্স দেখিয়েছেন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। সাকিবের ব্যাটিং ঝড়ে বার্বাডোজকে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় গায়ানা।
চলমান সিপিএলে এটি সাকিবের চতুর্থ ম্যাচ। নিজের প্রথম দুই ম্যাচে প্রত্যাশা মতো পাননি সাফল্য। তবে তৃতীয় ম্যাচে বল হাতে তিন উইকেটের পর ব্যাট হাতে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। আর সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ ম্যাচে রীতিমতো ঝড়ই তুলেছেন এই অলরাউন্ডার। ২৭ বল খেলে পেয়ে গেছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা।
আজও বল হাতে সফলই হয়েছেন সাকিব। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম বল করতে আসেন তিনি, সে ওভারে এক ছক্কাসহ নয় রান হজম করেন সাকিব। এরপর অষ্টম ওভারে তিনি দেন ৩ রান। তাকে যখন আবারও আক্রমণে আনা হয় ১৮তম ওভারে, ততক্ষণে ৯ উইকেট খুইয়ে বসেছে প্রতিপক্ষ। তৃতীয় বলে মুজিব উর রহমানকে ফিরিয়ে বার্বাডোজের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সাকিব। বার্বাডোজের ইনিংস শেষ হয় ১২৫ রানে। ইনিংস শেষে তার বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড়ায় ২.৩-০-১২-১।
শেষ পর্যন্ত বার্বাডোজের ১২৫ রানে। ১৭.৩ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে এই রান তুলে বার্বাডোজ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন হোল্ডার।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে হারায় গায়ানার ওপেনার হেমরাজ চন্দরপলের (০) উইকেট। এরপর চতুর্থ ওভারে ১৮ রানে শেই হোপকে (১৬) হারানোর পর দল যখন ধুঁকছিল, সাকিব তখনই এসে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। পঞ্চম ওভারে কাইল মেয়ার্সকে চার মেরে শুরু করা সাকিব ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন।
সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৫৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তার ফেরার পর ৫৪ বলে ২৯ রানের প্রয়োজন ছিল গায়ানার, তা তুলে নিতে রাহমানউল্লাহ গুরবাজ আর কিমো পলদের কোনো সমস্যাই হয়নি। ৫ উইকেটের ব্যবধানে চলতি মৌসুমের পঞ্চম জয় তুলে নেয় সাকিবের দল গায়ানা।